আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত করনীতি ও জাতীয় সঞ্চয়নীতি অনুসরণে ন্যয়ভিত্তিক, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, অংশগ্রহণমূলক, জনবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠাকরণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ। অভ্যন্তরীণ সম্পদে গড়বো উন্নত বাংলাদেশ। এই মিশন- ভিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
রাষ্ট্র বিনির্মাণের মূল চালিকা শক্তি অর্থ। মানুষের অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদ দিয়ে সকল স্তরের জনগণকে সেবা দিয়ে থাকেন সরকার। রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার বিভিন্ন খাতওয়ারী পরিকাঠামোর মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সুসংহত করতে রাষ্ট্রের মূল ভূমিকা রাখে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থ মন্ত্রণালয়কে চারটি বিভাগে বিভক্ত করেছেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। দেশের অভ্যন্তরীণ সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বদ্ধ পরিকর। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে ২১ শে এপ্রিল, ১৯৭৯ খ্রি. তারিখে ৪/৫৯/৭৯ নং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ জোরদারকরণ, দেশজ শিল্পের প্রতিরক্ষণ এবং আয় বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আশির দশকের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সরকারের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন বাজেটে অর্থের যোগান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পদ তথা রাজস্ব আহরণে সদা তৎপর এবং একটি সমন্বিত কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির নিমিত্তে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস