Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কিত
 
বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা সঞ্চয় অফিস/ব্যুরো এবং বিশেষ সঞ্চয় অফিস/ব্যুরোর মাধ্যমে ৪ ধরনের  সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ব্যবস্থা  চালু আছে।


(ক) ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রঃ সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে করতে পরবেন। একক নামে ৩০ লক্ষ টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। ৫ বছর মেয়াদ এবং মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.২৮%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৩৫%, ২য় বছরান্তে ৯.৮০%, ৩য় বছরান্তে ১০.২৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১০.৭৫% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে। মুনাফা পাওয়া যায় মেয়াদ শেষে। মোট ৫ লক্ষ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র থাকলে ৫ বছর পরে মেয়াদপূর্তিতে ৫৩৫৮০ টাকা আর ৫ লক্ষের উপরে থাকলে ৫০৭৬০ টাকা পাওয়া যায়, উৎসে কর কর্তণের পরে।


৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে     এখানে প্রবেশ করুন 


(খ) ৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রঃ সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক কিনতে পারবেন। একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। ৩ বছর মেয়াদ এবং মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.০৪%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ১০.০০% এবং ২য় বছরান্তে ১০.৫০% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে। ৩ মাস পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। মোট ৫ লক্ষ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র থাকলে প্রতি ৩ মাসে ১ লক্ষ টাকায় ২৬২২ টাকা আর ৫ লক্ষের উপরে থাকলে ২৪৮৪ টাকা পাওয়া যায়, উৎসে কর কর্তণের পরে।


৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে     এখানে প্রবেশ করুন


(গ) পরিবার সঞ্চয়পত্রঃ ১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশী মহিলা, যে কোন বাংলাদেশী শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা) এবং ৬৫ ও তদুর্ধ্ব বয়সের বাংলাদেশী (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক কিনতে পারবেন। একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লক্ষ টাকা।৫ বছর মেয়াদ এবং মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.৫২%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৫০%, ২য় বছরান্তে ১০.০০%, ৩য় বছরান্তে ১০.৫০% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১১.০০% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে। প্রতি মাসে মুনাফা পাওয়া যায়। মোট ৫ লক্ষ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র থাকলে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকায় ৯১২ টাকা আর ৫ লক্ষের উপরে থাকলে ৮৬৪ টাকা পাওয়া যায়, উৎসে কর কর্তণের পরে।


পরিবার  সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে     এখানে প্রবেশ করুন


(ঘ) পেনশনার সঞ্চয়পত্রঃ অবসরপ্রাপ্ত ব্যাক্তি এবং মৃত চাকুরীজিবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তান। একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা। ৫ বছর মেয়াদ এবং মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.৭৬%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৭০%, ২য় বছরান্তে ১০.১৫%, ৩য় বছরান্তে ১০.৬৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১১.২০% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে। ৩ মাস পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। মোট ৫ লক্ষ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র থাকলে প্রতি ৩ মাসে ১ লক্ষ টাকায় ২৭৯৩ টাকা আর ৫ লক্ষের  উপরে থাকলে ২৬৪৬ টাকা পাওয়া যায়, ট্যাক্স কাটার পরে।

বিঃদ্রঃ পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎসে কর কর্তণ নাই। 


পেনশনার সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে     এখানে প্রবেশ করুন


জুন, ২০১৯ হতে জাতীয় সঞ্চয়  অনলাইন ম্যানজমেন্ট সিস্টম চালু হওয়ার পরে এখন সব রকম মিলিয়ে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ এবং যুগ্ম নামে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এই ৫০ লক্ষের ক্ষেত্রে আবার উপরে প্রতি ধরনের সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে যে লিমিট আছে সেটার বাইরে ঐ এক রকম সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যায় না।

এখন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা সঞ্চয় অফিস/ব্যুরো এবং বিশেষ সঞ্চয় অফিস/ব্যুরো, পোস্ট অফিস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে  সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যায়। 


    ১। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত ফর্ম।


    ২। গ্রহকের এবং নমিনির ছবি (উভয়ের ছবি ২টি করে ) এবং উভয়ের NID এর কপি। 


    ৩। গ্রহকের ব্যাংক হিসাবের MICR চেকের ফটোকপি। 


     ৪। পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে ১। পেনশনের মঞ্জরীপত্র (PPO order) ২। সাধারণ ভবিষ্য তহবিলের (GPF order) মঞ্জরীপত্র ৩। আনুতোষিক (Gratuity order ) মঞ্জরীপত্র । এবং ৪। যথাযথ কতৃপক্ষ কতৃক পূরণকৃত পি.এস.সি ফরম-২। ফটোকপি জমা দিতে হবে ।


সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত ফর্ম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন



বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  ক্রমপুঞ্জিত বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র থাকলে উৎসে কর ৫% আর তার বেশি থাকলে উৎসে কর ১০% কর্তণ করতে হবে।
 
এখন জাতীয় সঞ্চয়  অনলাইন ম্যানজমেন্ট সিস্টমের মাধ্যমে  বিনিয়োগকৃত সকল সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মূল স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT এর মাধ্যমে গ্রহকের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে।